Saturday, June 27, 2020

বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বই সমূহ ! Most MYSTERIOUS Books In The World

Old Books

বই বলতে আমরা বুঝি কিছু গল্পের বই বা পড়ার বই কিংবা কিছু বই যেগুলি থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত হয় বা কিছু বই যেইসব বইগুলি আমাদের  শিক্ষা প্রদান করে ও কিছু এমন বই যেগুলি আমাদেরকে অন্ধবিশ্বাসের দিকে টেনে নিয়ে যায় আজ আমরা সেরকমই কিছু বইয়ের কথা বলব যেগুলি বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বই এর মধ্যে পড়ে।

।এই বইগুলি রহস্য আপনাদের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করবে। 


The Ripley Scroll Book

১) The Ripley Scroll Book  


১৫০০ শতাব্দী এক সাধুর নাম থেকে এই বইটির নামকরণ করা হয়| যার নাম ছিল George Ripleyমানা হয় আসলে এটি একটি জাদুবিদ্যার বই| এই বইতে বলা হয় কিভাবে একজন অমরত্বের সন্ধানে ইউরোপ প্রদর্শন করেছিল তার পাশাপাশি কিভাবে রূপান্তর বিদ্যা শেখা যায় রয়েছে তা লেখা রয়েছে এই বইতে।

রূপান্তরকরণ কোন প্রাণীকে নিজের রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তন করা যায়।

পরশপাথর➔ এই পরশপাথরের সাহায্যে সাধারণ পাথরকে সোনার পাথরের রূপান্তর করা যায়।

এই বইটিতে বলা হয়েছে যে ব্যক্তিদের সম্বন্ধে বইটির লেখা হয়েছিল তিনি হয়তো অমরত্বের সন্ধান পেয়ে গেছে আর সেই অমর হয়ে আমাদের সাথে জীবন যাপন করে চলেছে।
বইটি প্রকৃতপক্ষে রূপকথার বই মনে হলেও লেখক এর  বইটিসত্যি কারের ছিল  কিন্তু বৈজ্ঞানিক অর্থে কল্পবিজ্ঞান এর কাছে আমরা তো বিষয়টা গ্রহণযোগ্য হলেও পরশ পাথরের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।
The Voynich Manuscript

২)The Voynich Manuscript


এই বইটি এমন একটি বই যে বইটি কে আমাদের গবেষকরা এখনো পড়তে পারেনি| এই বইটার লেখক কে তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি| বইটির নাম Wilfrid Voynich এর নামের রাখা হয়েছে| ১৯০৯ থেকে ১৯১২ সালে এর মধ্যে কোন এক সময় বইটি তার হাতে আসে।

 এই বইটি পুরোপুরি মানুষের হাতে লেখা হয়েছে। এই বইটির পাতায় বিভিন্ন রকম গাছের পাতার ছবি আঁকা রয়েছে। যে গাছ গুলো আজ পর্যন্ত কোন মানুষের চোখে পড়েনি। এই বইটিতে আরও বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত ছবি আঁকা রয়েছে যেমন ধরুন অনেকগুলি মহিলা একসাথে নেপ্পুসিয়াম বা যৌনসঙ্গম এর মধ্যে রয়েছে এবং এই বইটিতে রয়েছে অনেক অ্যাস্ট্রোনমি ছবি এইসব কারণের জন্য এই রহস্যময় বইটিকে পড়ার জন্য অনেক পাঠক কোটি কোটি টাকা খরচ করতে রাজি রয়েছে
Codex Seraphinianus

৩) Codex Seraphinianus

এই বইটিতে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুতচিত্র রয়েছেএই বইটা পুরোটাই কাল্পনিকভাষায় রচিতযেমন বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে চাঁদের পাহাড়


এই বইটি Luigi Serafini এর দ্বারা লেখা হয়েছিল। তিনি একজন ইতালিয়ান আর্টিস্ট ছিলেন এই বইটি তিনি নিজের হাতের পুরোটা লিখেছিলেন। এই বইটিকে অনেকেই বহির্বিশ্বের অ্যানসার ক্লাভেরিয়া মনে  করে কারণ এতে  অদ্ভুত ছবি আঁকা রয়েছে।

যেমন রক্ত বের করা একটি অদ্ভুত ফল। এক মহিলা এর সাথে কুমিরের মিলনের ফলে পরবর্তীকালে মহিলাটি কুমিরের রূপ ধারণ করেছে। এরকম ধরনের অদ্ভুত অদ্ভুত চিত্র দিয়ে এই বইটি তৈরি। এই বইটিকে আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেনআপনি অবাক হবেন এটা জেনে কি ৯৫ শতাংশ মানুষ এই বইটি কে পছন্দ করে।
the book of soyga

৪)The Book of Soyga 

এই বইটি প্রথম মালিক হলেন John Dee যিনি কুইন এলিজাবেথ এর ওয়ানেরকোট কাউন্সিলর ছিলেন। তার পাশাপাশি তিনি একজন গণিতঅভিযাত্রিক বিদ্যাবিশ্লেষক ছিলেন। তার লাইব্রেরীতে প্রায় ৩০০০ এর বেশি বই ছিল যা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কালেকশন।


এই বইটি ১৫৭ টি  অ্যাস্ট্রোনমিক  ইভেন্ট এবং যাদুবিদ্যার একটি বই। jJohn Dee এর মৃত্যুর পরে বইটি রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যায়। ১৯৯৪ সালে এই বইটির দুটি সংকরণ আলাদা আলাদা স্থানে পাওয়া যায়  একটি হলো ব্রিটিশ লাইব্রেরি অফ লন্ডন এবং আরেকটি হল বার্লি লাইব্রেরী অফ অক্সফোর্ড। যেই দুটি স্থানে এই বইগুলি এখনো পাওয়া যায়।

এই বইয়ের ব্যাপারে বলা হয় যে এই বইটিকে ভগবানের এঞ্জেল নিজে অ্যাডাম কে দিয়েছিল এটি সেই অ্যাডাম যাকে আমরা পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে জানি যেহেতু বইটির সাথে এমন ইতিহাস যুক্ত সেই কারণে বইটিকে অতি সুরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে এবং বড় বড় মাফিয়ার এই বইটির ওপর নজর রয়েছে যা পৃথিবীর অন্য সব রহস্যময় বইয়ের মধ্যে একটি এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ।
The Rohonc codex

৫)The Rohonc codex

এই বইটিতে ৪৪৮ টি পেজ রয়েছে যদিও এই বইটি কোন এক অজ্ঞাত ভাষায় লেখা রয়েছে। তবে এই বইটির প্রত্যেকটি লাইন ডান দিক থেকে শুরু করে বামদিকে শেষ করা হয়েছে। এই বইয়ে উদাহরণস্বরূপ ৮৭ টি ছবি দেওয়া রয়েছে। 

যেগুলি ছিলো কোন যুদ্ধের সেনাবাহিনী বা কোন আবিষ্কার এবং ধর্মীয় প্রতীক হিসাবে দেখানো হয়েছে। ইংলিশে যেমন ২৬ টি আলফাবেট রয়েছে তেমনি এই বইয়ের লেখা অনুসারে এই বইটিতে ৩০০ টিরও বেশি অ্যালফাবেট রয়েছে। এই বইটিকে ১৪ শতাব্দীতে hungery পাওয়া গেছিল।  হাঙ্গেরির এক রাজার budhop batheni  তিনি নিজের লাইব্রেরীকে দান করে দিয়েছিলেন হাঙ্গারি একাডেমিক সাইন্স কে। যেখানে বইটিকে পাওয়া গেছিল সেখানে বইটি কিভাবে এল সেটি আজও রহস্যময় হয়ে রয়েছে এবং বইটি কোন ভাষায়  লেখা হয়েছিল  এবং  সেই ভাষার   আজ কোথায় সেটাও রহস্য
Le Dragon Rouge

৬)Le Dragon Rouge

লি ড্রাগন কে বলা হয় ব্ল্যাক ম্যাজিকের বুক। এই বিষয়টিকে নিয়ে অনেক ধোঁয়াশা ছিল সব সময় কিছু মানুষ মনে করেন। এই বইটিতে যে সব তথ্য দেওয়া আছে সেটাপ্রসিদ্ধ রাজা লিখেছিল বইটিতে মূলত শয়তানদের বসে করার বিভিন্ন তথ্য দেওয়া রয়েছে তাই যে কেউ খুব সহজেএটা দ্বারা প্রভাবিত হয়। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে। আপনি যদি এই বইটি কে পড়তে চান তাহলে এই সুযোগ আর নেই ।

এই বইটি ভাটিকান সিটির এক কক্ষে রাখা রয়েছেআর আপনারা ভালো করেই জানেন কোন বাইরের মানুষ ভাটিকান সিটির লাইব্রেরীতে ঢুকতে পারে না। সবাই বলে নাকি শয়তান নিজেই রেখে দিয়ে এই বইটি লিখেছিল এই বইটিতে শয়তানকে বশে আনার সহজ যাদুবিদ্যার বহু কৌশলকে বর্ণনা করা রয়েছে বাস্তবে এই বইটির ব্যাপারে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment