Thursday, June 25, 2020

Alien কি সত্যি হয় ? Aliens Do Exist?

বন্ধুরা আপনারা কি সাইন্স ফিকশন মুভি দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে আমি অনুমান করে বলতে পারি আপনাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরও বেশি বন্ধুদের এলিয়েন সম্বন্ধিত সাইন্স ফিকশন মুভি সবচেয়ে পছন্দের। কারণটাও স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক বেশি অ্যাডভান্স হয়ে থাকে আমরা যেসব কাজ করার ক্ষমতা রাখি না তারা সেসব কাজ নিমেষের মধ্যে করে ফেলে এবং এইসব দেখার পর আমাদের সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন তৈরি হয় সেটা হল সত্যিই কি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী আছে। চলুন আজকে আমরা কথা বলব Alien নিয়ে। Alien কি সত্যি হয়? নাকি সবটাই কাল্পনিক বা মনগড়া কথা।

robot



Alien কি সত্যি হয় ?


➤ এ বিষয়ে আলোচনার আগে আমাদের সকলকে একটি বিষয় বুজতে হবে সেটি হলো আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে Alien যেকোনো পরিস্থিতিতে জন্ম গ্রহণ করতে পারে|যা বিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে নাও হতে পারে কারণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বিজ্ঞান এখনো ততটা উন্নত নয় যতটা পৃথিবীতে।আজ আমরা শুধুমাত্র প্রাণী জন্মানোর বিজ্ঞানের সংজ্ঞা কে নিয়ে বিশ্লেষণ করব। অর্থাৎ কোন ধার্মিক গ্রন্থের বার্তা,কোন মানুষের কল্পনা,অনুমান বা ভবিষ্যৎবাণী বিবেচিত হবে না। বন্ধুরা এরকম কোনো কারণ নেই যে পৃথিবীর বাইরে জীবন থাকতে পারে না যেসব জীবনের জন্য প্রয়োজন তা শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই অবস্থিত তাও সম্ভব নয় কারণ আমাদের ইউনিভার্সেল অনেক অনেক গ্যালাক্সি রয়েছে এবং সেই গ্যালাক্সিতে রয়েছে সূর্যের মতো হাজারো নক্ষত্র,গ্রহ,উপগ্রহ তো এটা স্বাভাবিক পৃথিবীর মতো প্রকৃতি কোন না কোন গ্রহে আছে। যেটা খুঁজে পাওয়া কঠিন বা অসম্ভব হতে পারে কিন্তু সেই গ্রহের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না কিন্তু Alien কে খোঁজার আগে আমাদের জানতে হবে কি কি পদাৰ্থ প্রয়োজন একটি গ্রহের জীবের জন্মানোর জন্য। ভৌতবিজ্ঞান,রসায়নবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান অনুসারে মহাকাশে জীবন থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তিনটি পদার্থ হল জল,কার্বন এবং DNA।

বিজ্ঞানীরা মানে যে কোন গ্রহের প্রাণী থাকতে হলে সবার প্রথমে থাকতে হবে সেই গ্রহের তরল রূপে জল।কারণ জলেই সবচেয়ে বেশি রসায়ন মিশতে পারে অন্য সব তরলের তুলনায়।তরল রূপে জল কেই সবচেয়ে সঠিক মানা হয়ে জটিল অণু তৈরি ক্ষেত্রে। এই কারণে বিজ্ঞানীরা মানেন এই বিশ্বে Alien কে খুজতে হলে সবার আগে অন্য গ্রহে জল কে খুঁজতে হবে। দ্বিতীয়ত সেই গ্রহে কার্বন অবস্থিত কিনা কারণ কার্বন জলের সাথে মিশে জটিল তৈরি করতে সক্ষম। তৃতীয়ত DNA হলো এমন অনু যে নিজেই নিজের প্রতিকৃতি বাড়াতে পারে।DNA কার্বন এর সাথে মিশে জটিল অনুর সৃষ্টি ঘটাতে পারে। বাকি অনুরা এটা করতে সক্ষম কিনা তা বিজ্ঞানের পক্ষেও জানা সম্ভব হয়নি এটা তো আমরা বুঝতে পারলাম জল,কার্বন, এবং DNA যে কোন গ্রহে জীবের জন্ম সম্ভব। বিজ্ঞানীদের মতে এই দরকারি এলিমেন্ট গুলো পৃথিবীতে শুধু রয়েছে এটা ভাবার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বিজ্ঞানীরা এতদিন কোন গ্রহে জল থাকার সম্ভাবনা আবিষ্কার করেছে যেমন কেপলার 452B,
planet pic

আবার কোথাও পেয়েছেন কার্বন। কিন্তু মহাকাশে অনেক অনেক নক্ষত্র গ্রহ রয়েছে তাদের প্রত্যেককে এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি বিজ্ঞান আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে রয়েছে অনেক অনেক গ্রহ রয়েছে সূর্যের মত অনেক অনেক নক্ষত্র যারা এই পৃথিবী থেকে অনেক অনেক বেশি আলোকবর্ষ দূরে। আর এমন মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মতো রয়েছে লক্ষ লক্ষ গ্যালাক্সি। স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে যে ভৌতবিজ্ঞান এর যে নিয়ম প্রয়োগ হয়ে। কোনো না কোনো গ্রহে  এমন নিয়ম কার্যকরী হয় না তারা ভিত্তিহীন। Alien সত্যিই মহাকাশে রয়েছে সেই দাবিকে আরও স্পষ্ট করেন 1961 সালে Frank Drake প্রথম এমন একটি সমীকরণ খুঁজেছিল যেখানে গণনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবী ছাড়াও প্রাণী আছে যাকে Drake সমীকরণ  বলা হয়। Drake সব তথ্যের ভিত্তিতে জানার চেষ্টা করে কোথায় কোথায় জীবন থাকতে পারে পৃথিবীর বাইরে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে রয়েছে হাজারো এমন গ্রহ যেখানে জীবন থাকাটা সম্ভব কিন্তু এই সমীকরণকে 40 বছর পরে 2001 সালে বিজ্ঞানীরা আরও বেশি Upgrade করে পায় হাজারেরও বেশি নয় লক্ষেরও বেশি এমন গ্রহ আছে যে খানে জীবন থাকার সম্ভাবনা প্রবল অর্থাৎ এটা সত্যি যে পৃথিবী ছাড়াও প্রাণী রয়েছে এই মহাকাশে তবে সেই প্রাণীর আকার-আকৃতি আমরা যা কল্পনা করি তার ডিফারেন্ট হতে পারে তারা কীট-পতঙ্গ পর্যন্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা উন্নত Alien খুঁজতে  আগ্রহী বিজ্ঞান তাই বিজ্ঞানীরা নিজেদের প্রযুক্তি আপডেট করে চলেছে। কেপলার এর মত যন্ত্র কে পাঠিয়ে অন্যান্য গ্রহের খোঁজ নিচ্ছে তবে তা সীমিত আমাদেরই এই মিল্কিওয়ে  খুব কম বলা যেতে পারে 0.01 শতাংশ গ্রহ খুঁজতে সক্ষম হয়েছে।

আমাদের এই পৃথিবীতে বিজ্ঞানের খোঁজ করে মানুষ তাই আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে অ্যাডভান্স প্রায়ই। তার সত্ত্বেও আমাদের মহাকাশের উপর সীমিত এবার একবার ভেবে দেখুন তো তাদের কথা তারা বহু আলোকবর্ষ দূরে থাকার সত্ত্বেও আমাদের খোঁজ করতে পারে ভেবে দেখুন তাদের টেকনোলজির মানকে হ্যাঁ যারা দূর থেকে আমাদের কাছে আসতে সক্ষম তাদের টেকনোলজি আমাদের পৃথিবীর টেকনোলজি থেকে কয়েক কোটি কোটি গুণ এগিয়ে এবার একটু ভেবে দেখুন মানুষ কি কখনো পিঁপড়ের খোঁজ করতে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবে? না কখনোই যাবেনা তেমনি আমরা নিরাশ অনুভব করলেও এটাই সত্যি যে যেসব এলিয়েন পৃথিবীতে পৌঁছানো ক্ষমতা রাখে তাদের কাছে পৃথিবী আমাদের কোনো মূল্যই নেই তারা এতটাই উন্নত যে তারা চাইলে সমগ্র পৃথিবীর যেকোন জিনিস নিমেষেই নিজেরাই তৈরি করে নিতে পারেন আর তাদের এইসব কাজ করার জন্য হাজার রোবট থাকবে আর রইল পৃথিবীর সভ্যতা সেগুলো তাদের কাছে শুধুমাত্র একটি পিঁপড়ের সভ্যতার মতো সভ্যতা আমরা তাদের কাছে শুধুমাত্র নিকৃষ্টমানের আদিবাসী মানুষ অর্থাৎ Advanced Alien এই গ্রহের কোন বিষয়ে আগ্রহ অনুভব করবে না তবে যদি এটা ভাবা হয় তারা নতুন কিছু আবিষ্কারের উদ্দেশ্যেই পৃথিবীতে পাড়ি দেবে তবে তাদের অতি এডভান্স স্পেসশিপের বানাতে হবে।

যে আমাদের কল্পনারও উপরে যে স্পেসশিপের লক্ষ লক্ষ বছরের ইন্ধন মজুত থাকতে হবে কারণ এক আলোকবর্ষ ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটারের সমান তবুও যদি সেই স্পেসশিপ আলোকরশ্মির বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে তাতেও তাদের লক্ষ লক্ষ বছর লেগে যাবে আর সেই অবস্থায় তাদের স্পেসশিপ এর মধ্যে প্রযোজন চালাতে হবে অর্থাৎ এলিয়েন খাবার খেলে তাদের স্পেসশিপে চাষাবাদ করতে হবে এবং পুরুষ ও মহিলাদের বাচ্চা জন্ম দিতে হবে এবং জন্মানোর পর সেই বাচ্চাদের আবার ডাক্তার,মেকানিক,কৃষক,বানাতে হবে। শুনতে হাস্যকর হলেও তাদের এগুলি করতে হবে বারবার কিন্তু তারা কি এসব খাটনি করবে পিঁপড়ের মতো সভ্যতাকে আবিষ্কারের জন্য।কিন্তু এইসব জানার পরেও বিজ্ঞানীরা নিরাশ হয় না কারণ Alien পৃথিবীতে আসার আরেকটি সর্টকার্ট আছে যেটি Wormhole নামে পরিচিত।

তবে বলে রাখি Wormhole যে কোন বস্তুকে নিমেষেই অন্য কোন Galaxy  বা  অন্য কোন নক্ষত্রমণ্ডলে পৌঁছে দিতে পারে যারা এলিয়েন দেখার দাবি করেছে তাদের মোতে এই এলিয়েন Wormhole  এর মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে কিন্তু প্রশ্ন হলো যেই সভ্যতা Wormhole আবিষ্কার করতে পারে তারা পৃথিবীর সভ্যতার তুলনায় কোটি কোটি বছর এগিয়ে থাকা সত্বেও পৃথিবীর সভ্যতার প্রতি আকৃষ্ট কেন হবে বিল গেটস এর মত বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের মত তাদের কাছে ন্যানো রোবট থাকবে তো তারা কেন পৃথিবীতে আসবে প্রশ্ন-থেকে-যায় জানি তবে আমার তাও কেন মনে হয় হয়তো মানুষ এলিয়েনের সাক্ষাৎ পাবেন হয়তো আমাদের প্রযুক্তি আগামী কয়েক বর্ষে এত এগিয়ে যাবে যে এলিয়েনদের কাছে আমরাই আগে গিয়ে পৌঁছাব এই বক্তব্যে আপনাদের কি মতামত আমরা কি পারবো অসম্ভবকে সম্ভব করতে আমি বিশ্বাস করি সেই বাণীতে যেখানে বলা হয় অসম্ভব বলে কিছুই হয়না আপনার মতামত কমেন্ট করতে ভুলবেন না আমি সত্যিই আপনাদের মতামত জানতে আগ্রহী আর আপনার যদি এই পোস্টটি ভাল লাগে দয়া করে একটি লাইক করবেন এবং সাথে সাথে বন্ধুদের কেও শেয়ার করবেন।

No comments:

Post a Comment